بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
هَلۡ اَتٰى عَلَى الۡاِنۡسَانِ حِيۡنٌ مِّنَ الدَّهۡرِ لَمۡ يَكُنۡ شَيۡـٴً۬ـا مَّذۡكُوۡرًا ﴿۱﴾
৭৬-১ : কালপ্রবাহে মানুষের উপর তো এমন এক সময় আসিয়াছিল, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না।
اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَةٍ اَمۡشَاجٍۖ نَّبۡتَلِيۡهِ فَجَعَلۡنٰهُ سَمِيۡعًۢا بَصِيۡرًا﴿۲﴾
৭৬-২ : আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি মিলিত শুক্রবিন্দু হইতে, তাহাকে পরীক্ষা করিবার জন্য; এইজন্য আমি তাহাকে করিয়াছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন।
اِنَّا هَدَيۡنٰهُ السَّبِيۡلَ اِمَّا شَاكِرًا وَّاِمَّا كَفُوۡرًا﴿۳﴾
৭৬-৩ : আমি তাহাকে পথের নির্দেশ দিয়াছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হইবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হইবে।
اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلۡكٰفِرِيۡنَ سَلٰسِلَا۟ وَاَغۡلٰلًا وَّسَعِيۡرًا﴿۴﴾
৭৬-৪ : আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি শৃংখল, বেড়ি ও লেলিহান অগ্নি।
اِنَّ الۡاَبۡرَارَ يَشۡرَبُوۡنَ مِنۡ كَاۡسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُوۡرًاۚ﴿۵﴾
৭৬-৫ : সৎকর্মশীলেরা পান করিবে এমন পানীয় যাহার মিশ্রণ কাফূর -
عَيۡنًا يَّشۡرَبُ بِهَا عِبَادُ اللّٰهِ يُفَجِّرُوۡنَهَا تَفۡجِيۡرًا﴿۶﴾
৭৬-৬ : এমন একটি প্রস্রবণ যাহা হইতে আল্লাহ্র বান্দাগণ পান করিবে, তাহারা এই প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করিবে।
يُوۡفُوۡنَ بِالنَّذۡرِ وَيَخَافُوۡنَ يَوۡمًا كَانَ شَرُّهٗ مُسۡتَطِيۡرًا﴿۷﴾
৭৬-৭ : তাহারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেই দিনের বিপত্তি হইবে ব্যাপক।
وَيُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰى حُبِّهٖ مِسۡكِيۡنًا وَّيَتِيۡمًا وَّاَسِيۡرًا﴿۸﴾
৭৬-৮ : আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তাহারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে,
اِنَّمَا نُطۡعِمُكُمۡ لِـوَجۡهِ اللّٰهِ لَا نُرِيۡدُ مِنۡكُمۡ جَزَآءً وَّلَا شُكُوۡرًا﴿۹﴾
৭৬-৯ : এবং বলে, ‘কেবল আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হইতে প্রতি - দান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়।
اِنَّا نَخَافُ مِنۡ رَّبِّنَا يَوۡمًا عَبُوۡسًا قَمۡطَرِيۡرًا﴿۱۰﴾
৭৬-১০ : ‘আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের।’
فَوَقٰٮهُمُ اللّٰهُ شَرَّ ذٰلِكَ الۡيَوۡمِ وَ لَقّٰٮهُمۡ نَضۡرَةً وَّسُرُوۡرًاۚ﴿۱۱﴾
৭৬-১১ : পরিণামে আল্লাহ্ তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন সেই দিবসের অনিষ্ট হইতে এবং তাহাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ,
وَجَزٰٮهُمۡ بِمَا صَبَرُوۡا جَنَّةً وَّحَرِيۡرًا ۙ﴿۱۲﴾
৭৬-১২ : আর তাহাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কারস্বরূপ তাহাদেরকে দিবেন উদ্যান ও রেশমী বস্ত্র।
مُّتَّكِـِٕـيۡنَ فِيۡهَا عَلَى الۡاَرَآٮِٕكِۚ لَا يَرَوۡنَ فِيۡهَا شَمۡسًا وَّلَا زَمۡهَرِيۡرًاۚ﴿۱۳﴾
৭৬-১৩ : সেখানে তাহারা সমাসীন হইবে সুসজ্জিত আসনে, তাহারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীত বোধ করিবে না।
وَدَانِيَةً عَلَيۡهِمۡ ظِلٰلُهَا وَذُلِّلَتۡ قُطُوۡفُهَا تَذۡلِيۡلًا﴿۱۴﴾
৭৬-১৪ : সন্নিহিত বৃক্ষছায়া তাহাদের উপর থাকিবে এবং উহার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাহাদের আয়ত্তাধীন করা হইবে।
وَيُطَافُ عَلَيۡهِمۡ بِاٰنِيَةٍ مِّنۡ فِضَّةٍ وَّاَكۡوَابٍ كَانَتۡ قَوَارِيۡرَا۟ؔ ۙ﴿۱۵﴾
৭৬-১৫ : তাহাদেরকে পরিবেশন করা হইবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে -
قَوَارِيۡرَا۟ؔ مِنۡ فِضَّةٍ قَدَّرُوۡهَا تَقۡدِيۡرًا﴿۱۶﴾
৭৬-১৬ : রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে উহা পূর্ণ করিবে।
وَيُسۡقَوۡنَ فِيۡهَا كَاۡسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنۡجَبِيۡلًا ۚ﴿۱۷﴾
৭৬-১৭ : সেখানে তাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে যান্জাবীল মিশ্রিত পানীয়,
عَيۡنًا فِيۡهَا تُسَمّٰى سَلۡسَبِيۡلًا﴿۱۸﴾
৭৬-১৮ : জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের যাহার নাম সালসাবীল।
وَيَطُوۡفُ عَلَيۡهِمۡ وِلۡدَانٌ مُّخَلَّدُوۡنَۚ اِذَا رَاَيۡتَهُمۡ حَسِبۡتَهُمۡ لُـؤۡلُـؤًا مَّنۡثُوۡرًا﴿۱۹﴾
৭৬-১৯ : তাহাদেরকে পরিবেশন করিবে চিরকিশোরগণ, যখন তুমি উহাদেরকে দেখিবে তখন মনে করিবে উহারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা,
وَاِذَا رَاَيۡتَ ثَمَّ رَاَيۡتَ نَعِيۡمًا وَّمُلۡكًا كَبِيۡرًا﴿۲۰﴾
৭৬-২০ : তুমি যখন সেখানে দেখিবে, দেখিতে পাইবে ভোগ - বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য।
عٰلِيَهُمۡ ثِيَابُ سُنۡدُسٍ خُضۡرٌ وَّاِسۡتَبۡرَقٌ وَّحُلُّوۡۤا اَسَاوِرَ مِنۡ فِضَّةٍ ۚوَسَقٰٮهُمۡ رَبُّهُمۡ شَرَابًا طَهُوۡرًا﴿۲۱﴾
৭৬-২১ : তাহাদের আবরণ হইবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থূল রেশম, তাহারা অলংকৃত হইবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে পান করাইবেন বিশুদ্ধ পানীয়।
اِنَّ هٰذَا كَانَ لَـكُمۡ جَزَآءً وَّكَانَ سَعۡيُكُمۡ مَّشۡكُوۡرًا﴿۲۲﴾
৭৬-২২ : অবশ্য, ইহাই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃত।
اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ الۡقُرۡاٰنَ تَنۡزِيۡلًا ۚ﴿۲۳﴾
৭৬-২৩ : আমি তো তোমাদের প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি ক্রমে ক্রমে,
فَاصۡبِرۡ لِحُكۡمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعۡ مِنۡهُمۡ اٰثِمًا اَوۡ كَفُوۡرًاۚ﴿۲۴﴾
৭৬-২৪ : সুতরাং ধৈর্যের সঙ্গে তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের প্রতীক্ষা কর এবং উহাদের মধ্যে যে পাপিষ্ঠ অথবা কাফির তাহার আনুগত্য করিও না।
وَاذۡكُرِ اسۡمَ رَبِّكَ بُكۡرَةً وَّاَصِيۡلًا ۚ ۖ﴿۲۵﴾
৭৬-২৫ : এবং তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর সকালে ও সন্ধ্যায়,
وَمِنَ الَّيۡلِ فَاسۡجُدۡ لَهٗ وَسَبِّحۡهُ لَيۡلًا طَوِيۡلًا﴿۲۶﴾
৭৬-২৬ : এবং রাত্রির কিয়দংশে তাঁহার প্রতি সিজ্দাবনত হও আর রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
اِنَّ هٰٓؤُلَاۤءِ يُحِبُّوۡنَ الۡعَاجِلَةَ وَيَذَرُوۡنَ وَرَآءَهُمۡ يَوۡمًا ثَقِيۡلًا﴿۲۷﴾
৭৬-২৭ : উহারা ভালবাসে পার্থিব জীবনকে এবং উহারা পরবর্তী কঠিন দিবসকে উপেক্ষা করিয়া চলে।
نَحۡنُ خَلَقۡنٰهُمۡ وَشَدَدۡنَاۤ اَسۡرَهُمۡۚ وَاِذَا شِئۡنَا بَدَّلۡنَاۤ اَمۡثَالَهُمۡ تَبۡدِيۡلًا﴿۲۸﴾
৭৬-২৮ : আমি উহাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছি এবং উহাদের গঠন সুদৃঢ় করিয়াছি। আমি যখন ইচ্ছা করিব উহাদের পরিবর্তে উহাদের অনুরূপ এক জাতিকে প্রতিষ্ঠা করিব।
اِنَّ هٰذِهٖ تَذۡكِرَةٌ ۚ فَمَنۡ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيۡلًا﴿۲۹﴾
৭৬-২৯ : ইহা এক উপদেশ, অতএব যাহার ইচ্ছা সে তাহার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
وَمَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ يَّشَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلِيۡمًا حَكِيۡمًا ۖ﴿۳۰﴾
৭৬-৩০ : তোমরা ইচ্ছা করিবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন। আল্লাহ্ র্সবজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
يُّدۡخِلُ مَنۡ يَّشَآءُ فِىۡ رَحۡمَتِهٖؕ وَالظّٰلِمِيۡنَ اَعَدَّ لَهُمۡ عَذَابًا اَلِيۡمًا﴿۳۱﴾
৭৬-৩১ : তিনি যাহাকে ইচ্ছা তাঁহার অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেন, কিন্তু জালিমরা - উহাদের জন্য তো তিনি প্রস্তুত রাখিয়াছেন মর্মন্তুদ শাস্তি।